গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের শোক এবং ক্ষত বুকে নিয়ে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের মুখোমুখি আরব মার্কিনিরা নিজেদেরকে ‘অসম্ভব পছন্দের’ সামনে পাচ্ছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে পার্থী বাছতে তারা ক্রমাগত দ্বিধাবিভক্ত।
মিশিগান রাজ্যের আরব মার্কিনিরা মনে করছেন তাদের কণ্ঠ কেউ শুনছে না। কমলা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অন্যদিকে ট্রাম্প যদিও নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে দাবি করেন, তবুও তিনি অত্যন্ত প্রো-ইসরায়েল হিসেবে পরিচিত।
আরব মার্কিনিদের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ, আমাদের হৃদয় ভাঙা। এমন অবস্থায় ভোট দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনও প্রার্থীই বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে পরিষ্কার কোনো নীতিমালা গ্রহণ করেননি।’ এলাবেদ জানান, তিনি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমার ভোট আমার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করবে, যারা বোমাবর্ষণ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়নি, তাদের জন্য নয়।’
বিভক্ত সিদ্ধান্ত
যে সকল আরব মার্কিনারা কমলাকে সমর্থন দিচ্ছেন, তারা মনে করছেন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো পছন্দ। অন্যদিকে, অনেকে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
আরেকটি গোষ্ঠী, যার মধ্যে এলাবেদও রয়েছেন, মনে করেন কোনো প্রার্থীই তাদের সমর্থন পাওয়ার যোগ্য নন। এ গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলছেন, কেউ কেউ আবার গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।
'আত্মসম্মান বজায় রাখতে হবে'
আরব মার্কিনিদের মধ্যেও প্রচারের উচ্ছ্বাসের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেকেই বলেন, তারা নিজেদের কৌশলে ঐক্যমত খুঁজে পাচ্ছেন না, যার মাধ্যমে তারা মার্কিন নির্বাচনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে এবং ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারেন।
লেবানিজ মার্কিন আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশা নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন।