মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভের ঘটনায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা এখন বেজায় খুশি। তাদের এই খুশির কারণ, তারা মনে করছেন- ট্রাম্পের কল্যাণে ইমরানের কারামুক্তি সহজ হতে পারে। খবর জিওনিউজের।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি আছেন। তার প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন এবং সম্পর্কের ইতিহাস অনেকের কাছে আশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইমরান খানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেন। হোয়াইট হাউসে তারা দেখাও করেন। সেসময় ট্রাম্প ইমরান খানকে তার ‘ভালো বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তাদের সম্পর্ক মূলত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার জন্য ইমরান খানের সহযোগিতা নেয়ার লক্ষ্যেই ছিল আসল কারণ। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়লাভের পর পাকিস্তানের অনেক মানুষ আশা করছেন, তিনি ইমরান খানের মুক্তির জন্য কিছু পদক্ষেপ নিবেন। বিশেষ করে ৬ লাখ ২৫ হাজার পাকিস্তানি আমেরিকান যারা ইমরান খানের সমর্থক, তারা মনে করছে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ইমরান খানের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবেন।
তবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় এবং তার পূর্ববর্তী কর্মকাণ্ডে ইমরান খান বা পাকিস্তান নিয়ে তার কোনো বিশেষ মনোযোগ দেখা যায়নি। এমনকি, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ইমরান খানের বিষয়ে কোন মন্তব্য বা সমর্থনও ছিল না।
এদিকে, ইমরান খান ট্রাম্পকে তার বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী শান্তি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেবেন। তবে, ট্রাম্পের কাছ থেকে তার মুক্তির জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক সমর্থন বা পদক্ষেপ আশা করছেন না বলে জানিয়েছেন পিটিআইয়ের নেতারা।
কিছু পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আমেরিকানরা ট্রাম্পের কাছে ইমরান খানের মুক্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে ট্রাম্প তাতে কোনো গুরুত্ব দেননি। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মনে করে না ট্রাম্প ইমরান খানের মুক্তির জন্য কোনো উদ্যোগ নেবেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওজা আসিফ বলেছেন, আমরা মনে করি না ট্রাম্প পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার মুক্তির জন্য কিছু করবেন। আমরা ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করব এবং তারপর তার অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নিব।
পিটিআই নেতা রাওফ হাসান বলেছেন, তাদের দল কখনোই ট্রাম্পের বিজয়ে ইমরান খানের মুক্তি আশা করেনি। তারা তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। তার মুক্তি আদালত, সংসদ এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে হবে, ট্রাম্পের বিজয়ের মাধ্যমে না।