ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অবশেষে সচিব হলেন সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার

রাজনৈতিক কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (১০তম ব্যাচের কর্মকর্তা) সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার অবশেষে সচিব হলেন।
  • | ১০ নভেম্বর, ২০২৪
অবশেষে সচিব হলেন সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার।ফাইল ছবি

রাজনৈতিক কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (১০তম ব্যাচের কর্মকর্তা) সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার অবশেষে সচিব হলেন।আজ রোববার (১০ই নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. নাজমুল হকের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্যাডারের কর্মকর্তা মাসুদ মাহমুদ খোন্দকারকে সচিব/ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর/গ্রেড-এ, রাষ্ট্রদূত (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে তার পদোন্নতির আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।


চলতি মাসেই পিআরএলে যাওয়া মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ থেকে আগেই নিঃশর্ত অব্যাহতি পান। পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সেই আদেশে বলা হয়- যেহেতু সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ গুরুতর নয় এবং অনেকাংশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে প্রতীয়মান, তাছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরও দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলাটি নিষ্পন্ন হওয়ায় তিনি পেশাগত, মানসিক, সামজিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেহেতু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই বিভাগীয় মামলায় তার দীর্ঘ ভোগান্তি বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তাকে অভিযোগের সব দায় থেকে অব্যাহতি প্রদার করা হলো।


উল্লেখ্য, মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার ১৯৯১ সালে ফরেন সর্ভিসে যোগদান করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী সচিব হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত লন্ডন ও ম্যানিলার বাংলাদেশ মিশনে প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব এবং কনস্যুলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার অনুবিভাগের ডেপুটি চিফ অব প্রটোকল এবং পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি উপ-হাইকমিশনার হিসেবে অটোয়া এবং ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ওই মিশনে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


২০১০ সালে তিনি দায়িত্ব পান ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে। ২০১১ সালের এপ্রিলে তাকে সার্ক ও বিমসটেক অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়। কিন্তু কাতার শ্রমিক লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দ্বন্দ্বে নির্ধারিত মেয়াদ পূর্তির আগেই তাকে স্ট্র্যান্ড রিলিজ করে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। সেই থেকে ঠুনকো অভিযোগ এনে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিলো।