ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মস্কোতে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে রামেনস্কোয়ে এলাকার ৫ জন আহত হয়েছে এবং ৪টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে।
  • | ১১ নভেম্বর, ২০২৪
মস্কোতে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের মস্কোর রামেনস্কোয়ে এলাকায় ৪টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে প্রথমবার ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এর জবাবও দিয়েছে রাশিয়া বেশ ভয়ানক ভাবেই। যুদ্ধ শুরুর পর দুই দেশের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় পাল্টা-পাল্টি ড্রোন হামলা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোসহ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো ইউক্রেনের ৮৪টি ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে তাদের সামরিক বাহিনী। মস্কোর ৩ বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ওই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এসব ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। খবর বিবিসির।


হামলার পর, মস্কোর তিনটি বড় বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রোববার রাতে রাশিয়ার ১৪৫টি ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তাদের দাবি, রাশিয়ার বেশিরভাগ ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেনের আকাশে হামলা প্রতিরোধে সাফল্যের পরও মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে রামেনস্কোয়ে এলাকার ৫ জন আহত হয়েছে এবং ৪টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। সেপ্টেম্বরেও এ এলাকায় একটি ড্রোন হামলায় এক নারী নিহত হন। 


ইউক্রেনের ওদেসা অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ২ জন আহত এবং কিছু ভবনে আগুন ধরে গেছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৬২টি ইরানে-তৈরি ড্রোন ধ্বংস করেছে, কিন্তু ৬৭টি শনাক্ত করতে পারেনি রাডার এবং ১০টি ড্রোন নিরাপদে রাশিয়া, বেলারুশ বা মোল্ডোভায় ফিরে গেছে। 


অক্টোবর মাসে রাশিয়া বেশ কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে, ২০২২ সালের মার্চের পর এটা তাদের সবচেয়ে বড় বিজয়। তবে, একই মাসে রাশিয়া ব্যাপক হারে সেনা হারিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১,৫০০ রুশ সেনা হতাহত হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করেন, তিনি একদিনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। তবে, কীভাবে করবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। তার এক সাবেক উপদেষ্টা ব্রায়ান ল্যাঞ্জা দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে রাশিয়ার দখল করা কিছু ভূমি ছেড়ে দিতে চাপ দিতে পারে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে শান্তির সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ট্রাম্প রাশিয়াকে পরাজিত করতে নয় বরং শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দেবেন। 


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের ভূমি ছাড়ার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ইউক্রেন কখনও রাশিয়ার কাছে কোনো জমি ছাড়বে না। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাহায্য না আসতো, তবে ইউক্রেন আরো আগেই যুদ্ধে পরাজিত হতো।