বাইডেনের ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো নিয়ে মার্কিন প্রশাসন বড় ধরনের লজিস্টিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন যে, মার্কিন এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এর জন্য অপেক্ষা করা অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া কঠিন ব্যাপার। খবর ওয়াল ট্রিট জার্নালের।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বেশ কয়েকটি এমজিএম-১৪০ আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম পাঠিয়েছে এবং এগুলোর জন্য কিয়েভ কয়েক মাস ধরে আরো ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার অনুরোধ করছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার ভূখণ্ডের আরো গভীরে আঘাত হানার অনুমতি চাইছে। পেন্টাগন অতিরিক্ত ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে দ্বিধায় পড়েছে। তারা বলছে, মস্কো এরইমধ্যে তার মূল্যবান লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার বাইরে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি মার্কিন সেনাবাহিনীর মজুদে অল্প সংখ্যক এটিএসিএমএস রয়েছে।
পেন্টাগন প্রধান বলেন, যেসব ক্রেতা আগে ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার করেছে তাদেরকে আগে সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিনি ইউক্রেনে এটিএসিএমএস সরবরাহের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য জেলেনস্কির সাম্প্রতিক আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। অস্টিন জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান অস্ত্র চুক্তি ভঙ্গ করলে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে। তাছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর ইউক্রেন ইস্যুতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাই এখন বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে অতিরিক্ত সমরাস্ত্রের চালান পাঠাতে নারাজ।