একটি বড় বিমান হামলায় রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইউক্রেনের প্রায় ১২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। এতে সোভিয়েত যুগের তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
বুধবার (৮ মে) ভোরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিমানবাহিনী বলছে, আক্রমণে ব্যবহৃত ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৩৯টি এবং ২১টি ড্রোনের মধ্যে ২০টি ভূপাতিত করা হয়েছে। এটি রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থার উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে।
জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উপর আরেকটি বড় ধরনের আক্রমণ!’
কিয়েভে দুইজন এবং কিরোভোহরাদে একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো। তিনি বলেন, প্রায় ৩৫০ জন উদ্ধারকারী একাধিক জ্বালানি কেন্দ্র, ৩০টি বাড়ি, গণপরিবহন, গাড়ি এবং একটি ফায়ার স্টেশনের ক্ষতি কমানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
গালুশচেঙ্কো বলেন, পোলতাভা, কিরোভোহরাদ, জাপোরিঝিয়া, লভিভ, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক এবং ভিনিৎসিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র হামলার লক্ষ্য করা হয়েছে।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি জানিয়েছে, এলভিভের গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি বলেছেন, রাশিয়া দেশের পশ্চিমে নিজ অঞ্চলে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত কেন্দ্রেও আক্রমণ করেছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি রাশিয়া অস্বীকার করলেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাকে বৈধ সামরিক লক্ষ্য বলে মনে করে দেশটি।