ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

অবৈধ ইট ভাটাসমূহ যাতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনটি দাখিল করা হয়।
  • | ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অবৈধ ইটভাটা।

দেশের ৮ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে সে বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারদের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।


সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দাখিল করে। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।


এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারগণ এখন পর্যন্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এবং আদালতে কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায়, সংগঠনটির পক্ষে আদালতে একটি আবেদন করে উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইট উৎপাদন ও ভাটা পরিচালনার মৌসুম। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং করতে যাচ্ছে যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরূপ। অবৈধ ইট ভাটাসমূহ যাতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনটি দাখিল করা হয়।


এক সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারগণ নিজ নিজ এলাকার অবৈধ ইটভাটার মালিকরা যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পূর্বে তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও যে সকল বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ অধিদফতর ও ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারগণ।


রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু করতে না পারে সে মর্মে নির্দেশনা না দিলে এসব অবৈধ ইনভাটাগুলো পুনরায় আবার এ মৌসুমী কাজ শুরু করবে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।


হিউম্যান রাইডস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আবেদনকারী হলেন এডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী।