শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে গত পাঁচ দিন ধরে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শনিবারও (৩০ নভেম্বর) তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে তাপমাত্রা কমলেও সকালেই ঝলমলে রোদ দেখা দিয়েছে।
সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে জেলাজুড়ে কুয়াশার দেখা না মিললেও হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কমতে থাকে।
আবহাওয়া অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে কুয়াশা লক্ষ করা যাচ্ছে জেলা জুড়ে।
এদিকে, হিমেল বাতাসের কারণে সকালে কাজে যোগ দেয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। কষ্টে পড়ছেন পাথর ও চা শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশাভ্যানে উঠতে চায় না। এতে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন সময় সংবাদকে বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আকাশ পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত থাকায় কুয়াশা লক্ষ করা যাচ্ছে না।’