ঢাকা | বঙ্গাব্দ

উম্মে দারদা আসগার (রাহ.): হাদিস শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য নারী তাবেঈ

তাবেঈ (তাবেঈন) বলতে তাদের বোঝানো হয় যারা সাহাবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ইসলামের শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েছেন।
  • | ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪
উম্মে দারদা আসগার (রাহ.): হাদিস শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য নারী তাবেঈ ছবি : সংগৃহীত।

উম্মে দারদা আসগার (রাহ.): হাদিস শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য নারী তাবেঈ


আজহার ইসলাম 


তাবেঈ (তাবেঈন) বলতে তাদের বোঝানো হয় যারা সাহাবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ইসলামের শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েছেন। তাবেঈদের মধ্যে অনেকেই হাদিস শাস্ত্রের গবেষক ও সংকলক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এদের মধ্যে নারীদেরও অনন্য ভূমিকা রয়েছে, এবং একজন উল্লেখযোগ্য নারী তাবেঈ হলেন উম্মে দারদা আসগার (রাহিমাহুল্লাহ)। 


উম্মে দারদা আসগার (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী


উম্মে দারদা ছিলেন সাহাবি আবু দারদা (রাঃ)-এর স্ত্রী এবং একজন প্রখ্যাত তাবেঈ। তিনি ইসলামী জ্ঞান চর্চা ও হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়নে অসাধারণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। 


ইসলামী জ্ঞানে দক্ষতা : উম্মে দারদা ছিলেন কুরআন ও হাদিসের একজন বিশেষজ্ঞ। সাহাবিদের পাশাপাশি তাবেঈদেরও তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। বিশেষ করে দীন-শিক্ষায় নারীদের ভূমিকা প্রসারে তিনি পথপ্রদর্শক ছিলেন।


হাদিস সংগ্রহ ও বর্ণনা: উম্মে দারদা থেকে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে, যা হাদিস শাস্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। তাঁর মুখনিঃসৃত বাণীগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ হাদিস সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


উজ্জ্বল নৈতিকতা ও চিন্তা-ধারা: উম্মে দারদা ছিলেন উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী। ইসলামের শিক্ষা ও অনুশীলনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ় এবং মননশীল।


উম্মে দারদা (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস বলা হয়েছে, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি একজন মুমিনের বিপদ দূর করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বিপদ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কাউকে ক্ষমা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)


উম্মে দারদা আসগার ছিলেন ইসলামের শুরুর যুগে নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তাঁর অবদান মুসলিম সমাজে নারীশিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, জ্ঞানের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য নয়, বরং নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।