ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেন

সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
  • | ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
সাংবাদিক মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেন ছবি : সংগৃহীত।

সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেতনের বাইরেও তার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা জমা হয়েছে, যার মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে স্থগিত হিসাবে অবশিষ্ট আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। এই অর্থ মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এমএস প্রমোশনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।


জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপস এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলেন। এই হিসাবের নমিনি ছিলেন মুন্নী সাহা। অন্যদিকে, ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় মাহফুজুল হকের প্রাইম ট্রেডার্স নামে আরেকটি হিসাব খোলা হয় ২০০৪ সালের ২১ জুলাই। প্রাথমিকভাবে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।


আলোচ্য ঋণের মধ্যে কেবল ২০১৭ সালেই ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাইম ট্রেডার্স এবং এমএস প্রমোশনের মধ্যে কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের মধ্যে বিশাল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে প্রাইম ট্রেডার্সের হিসাবে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়। এই লেনদেনকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং বিএফআইইউ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে।


প্রাইম ট্রেডার্স ২০০৮ সালে স্থানীয় বাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন মটর কেনার জন্য ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করে। ঋণটি বারবার পুনর্গঠন করা হয়, কিন্তু তা পরিশোধ না হওয়ায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করা হয়। গ্রাহকের সুবিধার্থে ঋণের মেয়াদ ১২ বছর বাড়ানো হয়। যদিও ২০১৯ সাল পর্যন্ত কিছু কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছিল, ২০২০ সালের পর আর কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। ২০২১ সালে আবারও ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত সমান ৩৯টি কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়।


কবির হোসেন ২০১৭ সালের জুন মাসে এমএস প্রমোশনের নামে ১৮ কোটি টাকার ওভার ড্রাফট (ওডি) ঋণ নেন। পরবর্তী সময়ে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এটি নবায়ন করা হয় এবং সেই বছরের নভেম্বরে ওডি ঋণের সীমা বাড়িয়ে ২৫ কোটি টাকা করা হয়। ২০২২ সালে ঋণটি ৫ বছরের মেয়াদে পুনঃতপশিল করা হয়।


thebgbd.com/NA