ক্রিকেটের বাজার তৈরিতে বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহআয়োজক ছিল দেশটি। তবে আয়োজক হিসেবে সমালোচনাও সইতে হয়েছে তাদের। তোড়জোড় দেখা গিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনেও। তবে সেখানেও বিতর্ক তাদের পিছু ছাড়েনি। টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন লিগের জন্য গত বছর নতুন নিয়মনীতি তৈরি করেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আর এই নতুন নিয়মে ধরা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট লিগ এনসিএল'কে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। ইউএসএ ক্রিকেটকে (ইউএসএসি) চিঠির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আইসিসি। জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আইসিসি আর অনুমোদন দেবে না। একাদশের নিয়ম মেনে না চলার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের লিগে দলগুলোতে প্রথম একাদশে অন্তত সাতজন সেই দেশের খেলোয়াড় রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই লিগে সেই নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে দলগুলো ৬-৭জন বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছিল। এছাড়াও 'মাঠে ও মাঠের বাইরে' নানান সমস্যার কোথাও বলা হয়েছে।
এই টুর্নামেন্টে বেশ কিছু অদ্ভূত ঘটনাও ঘটেছে। ওয়াহাব রিয়াজ এবং টাইমাল মিলসের মতো ফাস্ট বোলারদের স্পিন বোলিং করতে বাধ্য করা হয়েছে। মানহীন বিপজ্জনক পিচে ব্যাটারদের শারীরিক ক্ষতি এড়াতে নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
এমনকি এই লিগে বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল। অনেক বিদেশি খেলোয়াড়ই নাকি স্পোর্টস ভিসা ছাড়াই খেলেছেন। এই ভিসা নিতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ রুপি খরচ হয়। অনৈতিকভাবে খরচ কমাতেই এই ভিসা ছাড়া খেলেছেন অনেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের এই লিগ বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই শুরু করা হয়েছিল। ওয়াসিম আকরাম ও ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তিকে শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছিল। মালিকপক্ষে যুক্ত করা হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকার এবং সুনীল গাভাস্কারকে। এছাড়া নামীদামী অনেক খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও খেলেছেন এনসিএলে। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ওয়েভসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
thebgbd.com/NIT