দিবসের সূচনা
১৬ ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন সংগঠনও শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
জাতীয় পতাকা ও আলোকসজ্জা
সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা থাকবে। প্রধান সড়কগুলোও জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হবে।
সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আয়োজন
- সংবাদপত্রে বিজয় দিবসের বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
- ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠানমালা।
- বিভিন্ন সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
- সকল জেলা ও উপজেলায় বিজয় মেলা এবং শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
- বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসগুলোতে অনুরূপ কর্মসূচি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা
বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলাগুলোতেও মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বিশেষ উদ্যোগ
- বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।
- ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন।
- এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, ও শিশু সদনগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন।
- শিশু পার্ক ও জাদুঘর সর্বসাধারণের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে।
- সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হবে।
এই কর্মসূচি বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে গভীরভাবে তুলে ধরতে ব্যাপকভাবে উদযাপন নিশ্চিত করবে।
thebgbd.com/AR