বাত রোগ (আরথ্রাইটিস) বা জয়েন্টের ব্যথা অনেকের জন্যই একটি অস্বস্তিকর ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা।এই ব্যথা কখনো কখনো খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু খাবার বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
যেসব খাবারে বাড়ে ব্যথা
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার: ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিঙ্ক বা সোডা প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট, চিনি এবং প্রিজারভেটিভ। এগুলো প্রদাহ (ইনফ্লেমেশন) বাড়িয়ে বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে।
২. অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার: পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, মিষ্টি পানীয় এবং অন্যান্য চিনি-সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ইনফ্লেমেটরি রেসপন্স সৃষ্টি করে, যা জয়েন্টের ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।
৩. লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস: লাল মাংস (যেমন: গরু ও খাসির মাংস) এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন: সসেজ, সালামি) ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, যা বাতের ব্যথা বাড়ায়।
৪. উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার: পনির, মাখন, ক্রিম এবং ফাস্ট ফুডে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট প্রদাহ বাড়াতে পারে।
৫. ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: সয়াবিন তেল, ভুট্টার তেল বা সানফ্লাওয়ার তেলে থাকা ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
৬. অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভার এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি প্রদাহ বাড়ায়। এটি গাউট এবং বাতের ব্যথা তীব্র করতে পারে।
৭. রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট: সাদা পাউরুটি, সাদা চাল এবং পাস্তা মতো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ইনফ্লেমেটরি প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
এড়াতে পরামর্শ
প্রাকৃতিক ও তাজা খাবার খান: শাকসবজি, ফল, বাদাম, মাছ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
পানিশূন্যতা এড়ান: পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
অতিরিক্ত লবণ এড়ান: উচ্চমাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
আপনার ব্যথার তীব্রতা যদি বাড়তে থাকে তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি এবং ওষুধ কার্যকর হতে পারে।