পবিত্র কোরআনে এবং হাদিসে এর অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পড়া কয়েকটি বিশেষ দোয়া তুলে ধরা হলো, যা আমাদের জীবনেও প্রতিদিন পাঠ করা উচিত।
১. সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস: রাসুলুল্লাহ (সা.) বিপদ বা শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য সূরা আল-ফালাক এবং সূরা আন-নাস পাঠ করতেন।
সূরা আল-ফালাক: কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক, মিন শাররি মা খালাক, ওয়া মিন শাররি গাসিকিন ইজা ওয়াকাব, ওয়া মিন শাররিন নাফ-ফাসাতি ফিল উকাদ, ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ। (সূরা ফালাক, আয়াত ১-৫)
সূরা আন-নাস:
কুল আউজু বিরাব্বিন নাস, মালিকিন নাস, ইলাহিন নাস, মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস, আল্লাজি ইয়ুয়াসউইসু ফি সুদুরিন নাস, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
(সূরা নাস, আয়াত ১-৬)
২. বিশেষ দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে এই দোয়াগুলো পড়তেন:
দোয়া ১: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সামই, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন শাররি লিসানি, ওয়া মিন শাররি কলবি, ওয়া মিন শাররি মনিয়ি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার কান, চোখ, জিহ্বা, হৃদয় এবং ব্যক্তিগত অঙ্গের অনিষ্ট থেকে।
দোয়া ২: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিআমাল ওয়াকিল। অর্থ: আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম কর্মবিধায়ক।
৩. শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য সূরা আল-বাকারা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫-২৮৬) রাতে পাঠ করবে, তা তাকে সব ধরনের বিপদ ও শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।
উক্ত আয়াত: আমানার রাসুলু বিমা উনজিলা ইলাইহি মিন রাব্বিহি... অন্ততুল হানাসির। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৫-২৮৬)
৪. শত্রুর জন্য মাফ প্রার্থনার দোয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যায় বা শত্রুতার পরও তাদের জন্য মাফ চাইতেন। তিনি বলতেন, আল্লাহুম্মাগফিরলি কাওমি ফাইনাহুম লা ইয়ালামুন। অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সম্প্রদায়কে ক্ষমা করুন। তারা জানে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের শেখিয়েছেন, যে কোনো বিপদ বা শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচতে আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে এবং সবসময় দোয়ার মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। উপরোক্ত দোয়াগুলো পাঠ করলে আমরা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও নিরাপত্তা লাভ করতে পারি।
thebgbd.com/AR