ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘মৃত্যু ও ধ্বংস’র অবসানে প্রার্থনা করেছেন গাজার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অনেক শিশু নিহত হয়েছে। এসব হামলার বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিস কঠোর সমালোচনা করেছেন।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
‘মৃত্যু ও ধ্বংস’র অবসানে প্রার্থনা করেছেন গাজার খ্রিষ্টান সম্প্রদায় গাজার একটি চার্চ।

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা শহরের শত শত খ্রিষ্টান মঙ্গলবার একটি গির্জায় জড়ো হয়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজা সিটি থেকে এএফপি’র এ খবর জানায়। 


কয়েক দশক ধরে গাজা শহর আলোকিত করা ঝলমলে আলো, উৎসবের সাজসজ্জা এবং বিশাল ক্রিসমাস ট্রি- এবার ইসরায়েলের নিষ্ঠুর আগ্রাসনে গাজার এই দৃশ্যপট বদলে গেছে, বদলে গেছে এখানকার উৎসব। এমনকি মঙ্গলবার গাজায় ইসরাইলের হামলা অব্যাহত ছিল। 


কয়েক সপ্তাহ ধরে সেন্ট পোরফিরিয়াসের ১২ শতকের গ্রীক অর্থোডক্স চার্চে আশ্রয় নেওয়া জর্জ আল-সায়েগ বলেন, এই ক্রিসমাস (বড়দিন) মৃত্যু এবং ধ্বংসের দুর্গন্ধ বহন করে। কোনও আনন্দ নেই, উৎসবের চেতনা নেই। পরের ছুটি পর্যন্ত কে বাঁচবে তাও আমরা জানি না।


অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথ্য অনুসারে গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গির্জা ধ্বংস হয়, যেখানে ১৮ ফিলিস্তিনি খ্রিষ্টান নিহত হয়। গাজায় প্রায় ১১০০ খ্রিষ্টান বাস করে, এ সম্প্রদায় যারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুদ্ধের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।


ভূখণ্ডের নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা অনুসারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অনেক শিশু নিহত হয়েছে।  এসব হামলার বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিস কঠোর সমালোচনা করেছেন। রোববার সাপ্তাহিক অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনার পর পোপ বলেছেন, বেদনার সঙ্গে গাজার কথা, এত নিষ্ঠুরতার কথা, শিশুদের মেশিনগানের শিকার হওয়ার কথা, স্কুল ও হাসপাতালে বোমা হামলার কথা ভাবি। এ কী চরম নিষ্ঠুরতা।


সূত্র : এএফপি


এসজেড