আসরের নামাজের পর এমন কিছু আমল আছে যেগুলো করলে সওয়াব বহুগুণ বেড়ে যায়। এসব আমলগুলো নিয়মিত করলে দুনিয়া ও আখিরাতে অপার সওয়াব পাওয়া সম্ভব। এছাড়া এগুলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং হৃদয়ে শান্তি আনতে সহায়ক।
নিচে সেসব আমলের কিছু উল্লেখ করা হলো:
১. আস্তাগফিরুল্লাহ বলা: আসরের নামাজের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া (আস্তাগফিরুল্লাহ বলা) অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এটি গুনাহ মাফের মাধ্যম এবং হৃদয়ের প্রশান্তি আনে।
২. তাসবিহ পাঠ করা: সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার করে বলা। এরপর একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ও হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন কদীর বলা।
৩. আয়াতুল কুরসি পাঠ করা: আয়াতুল কুরসি পড়া রুজি-রোজগারের বারাকাহ আনে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে।
৪. সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করা: এই সূরাগুলো সকালে ও সন্ধ্যায় পড়া সুন্নত এবং এগুলো পড়লে আল্লাহর আশ্রয় লাভ হয়।
৫. দুয়া করা: আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়টি দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত। এই সময়ে আল্লাহর কাছে মন থেকে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৬. ইসতেগফার ও দরুদ পাঠ: নবী করিম (সা.)-এর উপর বেশি বেশি দরুদ পড়া সওয়াবের কাজ। পাশাপাশি ইসতেগফার করলে গুনাহ মাফ হয় এবং জীবনের সংকট দূর হয়।
৭. সন্ধ্যার জিকির: সন্ধ্যার জিকির (মাসনুন দোয়া ও জিকির) পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুরু মা’আসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা’ই ও হুয়াস সামিউল আলিম তিনবার। রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়া বিল ইসলামী দিনা, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁ।
৮. সদকা করা: আসরের পর কোনো দরিদ্রকে সাহায্য করা বা দান করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। এটি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ আনে।
thebgbd.com/NIT