ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কৃষ্ণসাগরে তেল ছড়িয়েছে, ক্রিমিয়ায় জরুরি অবস্থা

ট্যাঙ্কার দুটো ৯ হাজার ২০০ টন জ্বালানি তেল বহন করছিল, যার প্রায় ৪০ শতাংশই সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
কৃষ্ণসাগরে তেল ছড়িয়েছে, ক্রিমিয়ায় জরুরি অবস্থা তেল বহনকারি একটি ট্যাঙ্কার।

ক্রিমিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগরে ঝড়ের কারণে দু’টি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষ হলে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ব্যক্ত করে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক সতর্ক বার্তা জারি করেছে রাশিয়া। এবং এ ঘটনায় ক্রিমিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মস্কো থেকে এএফপি একথা জানায়।


রাশিয়া এবং সংযুক্ত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের মধ্যবর্তী কের্চ প্রণালীতে ঝড়ের কবলে পড়লে ১৫ ডিসেম্বর দুটি ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ট্যাঙ্কার দু’টির একটি ডুবে যায় এবং অপরটি অগভীর জলে আটকা পড়ে। হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নিয়োজিত করা হলেও, রুশ পরিবেশবাদি বিজ্ঞানীদের কয়েকজন একে অপর্যাপ্ত বলে সমালোচনা করছেন।


কর্তৃপক্ষের মতে, ট্যাঙ্কার দুটো ৯ হাজার ২০০ টন জ্বালানি তেল বহন করছিল, যার প্রায় ৪০ শতাংশই সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে। রাশিয়ার প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,‘পরিস্থিতি সত্যিই নাজুক।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা অসম্ভব, তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে  নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।’ 


প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তেল ছড়িয়ে পড়াকে একটি ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেন। ক্রিমিয়ার মস্কো নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘কের্চ প্রণালীতে তেলজাত দ্রব্য ছড়িয়ে পড়ার কারণে’ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।


রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, সাগরের দূষিত জলের এলাকা চিহ্নিত ও পরিস্কার করা হয়েছে এবং নতুন করে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তবে জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রী আলেকজান্ডার কুরেনকভ উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কৃষ্ণ সাগরে ডুবন্ত ট্যাঙ্কার থেকে নতুন করে জ্বালানি তেল চুইয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং উপকূলে গিয়ে জমা হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে।’


সূত্র: আরটি


এসজেড