স্পেনকে মেসির দ্বিতীয় দেশ বলা যায়। দেশটির ক্লাব বার্সেলোনাতেই কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়। ক্লাবটির হয়েই খ্যাতির শীর্ষে ওঠা। এবার সেই স্পেনেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
মেসির মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ ট্রাস্ট স্পেনের বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে। যার নাম এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমি। এর প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫৭.৪ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার টাকার বেশি)। সব মিলিয়ে বাজারে এর মূলধন ২২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো বা ২ হাজার ৭৮৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টক এক্সচেঞ্জ পোর্টফোলিওর তথ্য অনুযায়ী, মেসিই এই বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান। এর একমাত্র শেয়ারহোল্ডার মেসির পারিবারিক বিনয়োগ কোম্পানি, যার নাম লিমেকু এস্পানা ২০১০।
মেসি এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমির চেয়ারম্যান হলেও খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ব্যবসায় খুব বেশি সময় দিতে পারেন না। তার অবর্তমানে মূলত স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো এই বিনিয়োগ ট্রাস্টটি পরিচালনা করেন। তিনি বর্তমানে কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন আলফনসো নোবোত এবং রামোন আদেল। নোবোত মেসির পারিবারিক অফিস চালান এবং আদেল স্পেনের প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক শক্তি ইউটিলিটি কোম্পানি নাতুরাজির বোর্ড সদস্য।
এদিফিসিও রসটাওয়ার সোচিমির স্পেন এবং অ্যান্ডোরায় ৭টি হোটেল আছে। স্পেনে ৩টি অফিস স্পেস ও ৫টি অ্যাপার্টমেন্টও আছে। লন্ডন এবং প্যারিসেও আছে আবাসিক সম্পত্তি।
পোর্টফোলিও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী সান্তিয়াগো নাভারো জানিয়েছেন, মেসির কোম্পানি এবার নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজে নেমেছে, যারা স্পেনের কাতালুনিয়া অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। কাতালুনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় মেসি দুই দশকের বেশি সময় কাটিয়েছেন। নাভারো আরও জানান, মেসির এক্সচেঞ্জটি ২০২৩ সালে চালু হয়েছে। স্পেনের কেন্দ্রয় ব্যাংক বাংকো দ্য এস্পানা এটির তত্ত্বাবধান করে।
মেসি ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন। ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। তবে চুক্তি নবায়নের সুযোগ আছে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি যে স্পেনের বার্সেলোনায় ফিরবেন সে কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন।
thebgbd.com/NIT