ইসলামে প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে প্রতিবেশীর অধিকার নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসলাম প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, এবং নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে প্রতিবেশীর শান্তি, নিরাপত্তা, ও মর্যাদা রক্ষা করার ওপর জোর দেয়। তাই প্রতিবেশীকে বিরক্ত করা ইসলামে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিকট প্রতিবেশী এবং দূর প্রতিবেশীর প্রতি সদাচরণ করতে হবে। এই নির্দেশনা থেকে বোঝা যায় যে, শুধু আশপাশের লোকদের নয়, দূরের লোকদের সঙ্গেও ভালো আচরণ করা একজন মুসলমানের দায়িত্ব। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, তার উচিত তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেওয়া। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জিবরাইল (আ.) প্রতিবেশীর অধিকার নিয়ে এত বেশি উপদেশ দিতেন যে, রাসুল (সা.) মনে করেছিলেন, প্রতিবেশী উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইসলামে প্রতিবেশীর সঙ্গে এমন কোনো কাজ করা নিষিদ্ধ যা তাদের কষ্ট দেয় বা বিরক্ত করে। শব্দ দূষণ, অন্যায় আচরণ, গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ, বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবেশীর শান্তি নষ্ট করা ইসলামের নির্দেশনার পরিপন্থী। নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়, সে প্রকৃত মুমিন নয়।
প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ শুধু একটি সামাজিক শিষ্টাচার নয়, বরং এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। ইসলামে এটি বিশ্বাসের অংশ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মাধ্যম। তাই একজন মুসলমানের উচিত প্রতিবেশীর প্রতি যত্নবান থাকা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এমন কোনো কাজ না করা যা তাদের বিরক্ত বা কষ্ট দেয়।
thebgbd.com/NA