এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইল ফোনের বিল, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় খাবারের খরচ ইত্যাদি। নতুন ভ্যাট আরোপের বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে এবং প্রজ্ঞাপন আকারে শিগগিরই এটি জারি হতে পারে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ সরকারকে দেওয়া ঋণের শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব বাড়ানোর জন্য ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। আইএমএফের পরামর্শে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্যগুলোর ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, টমেটো কেচাপ, সিগারেট, চপ্পল, বিমান টিকিট এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে, যা মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি করতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়াবে।
আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, যা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা (৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) অর্জন করতে এই ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআর জানায়, ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়টি সাধারণত বাজেট ঘোষণার সময় হয়, কিন্তু এই বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের জন্য ভ্যাট বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।
বিগত ডিসেম্বরের ৪ ও ৫ তারিখে আইএমএফ প্রতিনিধিরা এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কর অব্যাহতি কমানোর জন্য চাপ দেয় এবং রাজস্ব বাড়ানোর শর্ত হিসেবে এই ভ্যাট বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়। সরকারি কর্মকর্তারা জানায়, গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতিতে মন্দাভাব থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হয়নি এবং এখন রাজস্ব ঘাটতির মুখে সরকার। তাই এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
thebgbd.com/AR