নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তদন্তকারীরা দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তকারীরা যদি ইওলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলে তাহলে তিনি হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি অভিশংসিত হওয়ার পরে গ্রেপ্তার হবেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিউল থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
ইউন সুক ইওল ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার পর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ট বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখে। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক প্রত্যাহার করা হয়।
দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও) বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে এএফপি’র সাংবাদিক জানান, জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারী কর্মীরা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করেই বাসভবনের ঢোকার চেষ্টা করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ইওলের বাসভবনের ভেতরে থাকা সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের প্রতিহত করেছে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা কর্মীরা তদন্তকারীদের পরোয়ানা মানবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা কর্মীরা এর আগেও ইওলের বাসভবনে পুলিশের প্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করেছেন।
সিনিয়র প্রসিকিউটর লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারীরা ইউনকে আটক করার জন্য তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউনের বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। ইউনের আইনি দল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে বলেছেন এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আরো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে ইওলের আইনজীবী ইওন ক্যাপ কিউন বলেছেন, বেআইনি পরোয়ানা কার্যকর করা বৈধ নয়। ঘটনাস্থল থেকে এএফপি’র সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে পুলিশের কয়েক ডজন বাস, শত শত পোশাকধারী পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে ইওল বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ ও ১৩৫টি পুলিশের বাস ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।