মার্কিন কোম্পানি ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস বলেছে, নাসার একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচির অধীনে আগামী সপ্তাহে চাঁদে একটি রোবট নভোযান পাঠাচ্ছে তারা। অভিযানের ব্যয় কমাতে বাণিজ্যিক খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে নাসা। অভিযানটি সফল হলে, অ্যাপোলো যুগের অবসানের পর দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কোন রোবটিক মহাকাশযানের চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ হবে।
টেক্সাস-ভিত্তিক ফায়ারফ্লাই স্পেস সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া একটি পোস্টে লিখেছে, ‘বাকল আপ! চাঁদে আমাদের রোড ট্রিপ ১৫ জানুয়ারি বুধবার ইএসটি সকাল ১:১১ এ @স্পেসএক্স ফ্যালকন নাইন রকেটে শুরু হবে।’ কোম্পানির ল্যান্ডার, ব্লু ঘোস্ট, ২ মিটার (৬.৬ ফুট) লম্বা এবং ৩.৫ মিটার (১১.৫ ফুট) চওড়া। এর লক্ষ্য চাঁদের উত্তর-পূর্ব দিকে মারে ক্রিসিয়ামের মধ্যে অবস্থিত মনস ল্যাট্রেইল নামক একটি আগ্নেয়গিরির জায়গায় ১০টি বিজ্ঞান গবেষণা প্রকল্প এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
ব্লু ঘোস্ট চাঁদে ৪৫ দিনের ভ্রমণ করবে এবং তারপরে চন্দ্রপৃষ্ঠে ১৪ দিনের পূর্ব পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস ২০২১ সালে নাসার কমার্শিয়াল লুনার পেলোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) এর উদ্যোগে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পেনসিলভানিয়া-ভিত্তিক অ্যাস্ট্রোবোটিক পরিচালিত প্রথম সিএলপিএস মিশনটি ব্যর্থ হয়।
কোম্পানির পেরেগ্রিন ল্যান্ডারটি ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স ভলকান রকেটে চড়ে যাত্রা করে কিন্তু কিছু দিন পরে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে তা হারিয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যায়। এক মাস পরে, টেক্সাস-ভিত্তিক ল্যান্ডার স্পেস এক্স ফ্যালকন নাইনে চড়ে যাত্রা করে এবং ২২ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে দক্ষিণ মেরুর কাছে চাঁদের পিষ্ঠ স্পর্শ করে।
অবতরণের সময় এটির একটি পা ভেঙে যায়। ফলে এটি এমন একটি অংশে পড়ে যাতে এর সৌর প্যানেলগুলো রেডিও চালিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক গ্রহণ করতে পারেনি। তবুও, মিশনটি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে, ছবি প্রেরণ করেছে এবং এটিকে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ মিশনের পর প্রথম মার্কিন চন্দ্র অবতরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আজ পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি দেশ চাঁদে সফলভাবে মহাকাশযান পরিচালনা করেছে, দেশগুলো হল- সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত এবং জাপান।
সূত্র: নাসা
এসজেড