ফিলিস্তিনের রাফাহ শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশ বিভক্ত করে প্রধান রাস্তা দখল করেছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো। মূলত দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় শহরের পুরো পূর্বদিক ঘিরে ফেলেছে।
শুক্রবার (১০ মে) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এদিন শহরের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। ওই সময় সেখানকার বিস্ফোরণ এবং বন্দুকযুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
হামাস বলেছে, শহরের পূর্বে একটি মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো অতর্কিত হামলা চালায়।
রাফাহর পূর্বদিকের অর্ধেক এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। হাজার হাজার মানুষকে শহরের বাইরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।
এর আগে, যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের অন্যান্য অংশ থেকে দশ লাখেরও বেশি লোক পালিয়ে আসে।
ইসরায়েল বলেছে, রাফাহ আক্রমণ না করে যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ, তারা মনে করে সেখানে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধা আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, হামাস বলেছে, রাফাহ রক্ষায় তারা লড়াই করবে।
সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এই যুদ্ধে ইতোমধ্যেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাস্তুচ্যুত হওয়া কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক।
রাফার পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান (৫০) একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘রাফাহ নিরাপদ নয়। কারণ, গতকাল থেকে সর্বত্র ট্যাঙ্কের গোলা বর্ষণ চলছে। সেনারা ট্যাঙ্কের গোলা ও বিমান হামলার মাধ্যমে শুধু পূর্বদিকেই নয় পুরো রাফাহকে টার্গেট করছে।’
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বলছে, সাত মাসের যুদ্ধে ৩৪ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার জন্য আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তাদের এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়।