ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তরা চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, প্রতিবছর খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমন লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যদিও তাদের কারও শরীরে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, তবে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইইডিসিআরের গবেষণার অংশ হিসেবে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
রিওভাইরাস হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। জটিল ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া এবং এনকেফালাইটিসের ঝুঁকি থাকে। শিশু ও বয়স্করা এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগীর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। রিওভাইরাস শনাক্ত হওয়া এসব রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।
রিওভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। এই ভাইরাস সাধারণত শীতকালে বেশি সক্রিয় থাকে। স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
thebgbd.com/AR