ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মাগরিবের নামাজের পরের আমল

মাগরিবের নামাজের পর সর্বপ্রথম উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
মাগরিবের নামাজের পরের আমল ফাইল ছবি

মাগরিবের নামাজ মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সময়ের আমল ও ইবাদত আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। মাগরিবের নামাজের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যা করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় এবং জীবন ধন্য হয়।


মাগরিবের নামাজের পর সর্বপ্রথম উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নামাজ শেষ করে তিনবার "আস্তাগফিরুল্লাহ" বলা সুন্নত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল যা বান্দাকে পাপমুক্তির দিকে ধাবিত করে।


এরপর আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে কোনো বাধা থাকবে না।


মাগরিবের নামাজের পর তিনবার সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করার মাধ্যমে নিজেকে এবং পরিবারকে আল্লাহর রহমত ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করার আমল করা উচিত।


এই সময় বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল করা আল্লাহর কাছে প্রিয়। যেমন, "সুবহানাল্লাহ," "আলহামদুলিল্লাহ," "আল্লাহু আকবার" এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করা। এগুলো পাঠ করলে বান্দার আমলনামা ভারী হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়।


মাগরিবের নামাজের পর আল্লাহর দরবারে হাত তুলে বিশেষ দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দোয়ায় নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমস্ত মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করা উচিত। এ সময় আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।


যারা নফল নামাজ আদায় করতে পারেন, তাদের জন্য মাগরিবের পর দু’রাকাত নফল নামাজ পড়া খুবই পুণ্যময়। এতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।


মাগরিবের পর থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত সময়টুকু ইবাদত ও আমলে কাটানো উত্তম। এই সময়টি দুনিয়ার কাজ থেকে বিরত থেকে আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকার সুবর্ণ সুযোগ।


মাগরিবের পর নিজেকে হালাল উপায়ে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা এবং পরিবারে সময় দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলা এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা প্রয়োজন। এই আমলগুলো মাগরিবের পর পালন করলে দুনিয়া এবং আখিরাতে শান্তি লাভ করা সম্ভব।


thebgbd.com/NIT