রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং দুই নেতার মধ্যে সেই আসন্ন বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ফ্লোরিডার পাম বিচে মার-এ-লাগো রিসোর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে ট্রাম্প পুতিনের এই আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি বৈঠক করতে চান এবং সেটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে পুতিন কবে কোথায় সেই কথা বলেছেন সে সম্পর্কে ট্রাম্প কিছু বলেননি।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তিনি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে এই বৈঠকের কথা জানালেন। পুতিন দেখা করতে চান উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যেও তা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, তালগোল পাকানো রক্তাক্ত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।
তার নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প কখনও যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তির জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেননি এবং প্রায়শই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে কিয়েভে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প জর্জিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘সবচেয়ে বড় বিক্রেতা’ বলে উপহাসও করেছেন। পাশাপাশি তিনি ক্রেমলিন নেতা পুতিনের সমালোচনা করে ওয়াশিংটনে ভ্রু কুঁচকেছেন আবার তার প্রশংসাও করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ইউক্রেনে প্রেরিত বিশাল সামরিক সহায়তার সমালোচনা করার পাশাপাশি, ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধকালীন সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাইডেনের অধীনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
এমতাবস্থায় ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেনে মস্কোর দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধানের আশা জাগিয়ে তুলেছে। তবে দ্রুত শান্তি চুক্তি ইউক্রেনের জন্য উচ্চ মূল্যে আসতে পারে বলে কিয়েভ ও এর মিত্রদের মধ্যে আশঙ্কাও তৈরি করেছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
