পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বম সম্প্রদায়ের সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।
অবিলম্বে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না এলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে জানান বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১০ মে) বান্দরবানে শহরের নিউ গুলশান এলাকার বাংলাদেশ খ্রিস্টান চার্চ কার্যালয়ে অুনষ্ঠিত এক সভার পর ভিডিও বার্তায় নেতৃবৃন্দ কেএনএফের প্রতি এই হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, সাধারণ সম্পাদক লাল থান জেল বম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম এবং বম সম্প্রদায় ও ইয়ং বম অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষায় ভিডিও বার্তাটি দেয়া হয়।
বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম জানান, কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত পাড়াগুলোতে এখন খাদ্য সঙ্কটসহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার লোকজন এখন জুম চাষ করতে পারছে না, বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে পারছে না। অনেকে পাড়ায় বসবাস করতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যাচ্ছে।
বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম আরো জানান, এই অবস্থায় আমরা কেএনএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তারা যাতে অবিলম্বে ব্যাংকের লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর যদি তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে সাধারণ বম সম্প্রদায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি আরো জানান, কেএনএফ অস্ত্র ফেরত দিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলে বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহায়তা করবে এবং আলোচনার জন্য প্রশাসনের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ২ এপ্রিল রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং অপহরণের ঘটনায় পাঁচটি এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে।