ঢাকা | বঙ্গাব্দ

যে ভিটামিনের অভাবে শরীর ক্লান্ত থাকে

শরীরে ক্লান্তি এবং অবসন্নতার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে ভিটামিনের অভাব একটি সাধারণ কারণ।
  • | ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
যে ভিটামিনের অভাবে শরীর ক্লান্ত থাকে যে ভিটামিনের অভাবে শরীর থাকে ক্লান্ত

শরীরে ক্লান্তি এবং অবসন্নতার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে ভিটামিনের অভাব একটি সাধারণ কারণ। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি শরীরকে দুর্বল করে তোলে এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


ভিটামিন ডি শরীরের শক্তি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তি অনুভূত হয়। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি উৎপাদনের প্রধান উৎস, তাই যারা রোদে কম সময় কাটান বা অন্দরমুখী জীবনযাপন করেন, তাদের মধ্যে এই ঘাটতি দেখা দিতে পারে।


ভিটামিন বি১২ হাড়ের গঠন, স্নায়ুতন্ত্র এবং রক্তের লাল কণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন সঠিকভাবে হয় না, ফলে শরীর ক্লান্ত বোধ করে। প্রাণিজ উৎসের খাবার, যেমন ডিম, মাছ এবং দুধে ভিটামিন বি১২ থাকে, তাই যারা সম্পূর্ণ শাকাহারী, তাদের মধ্যে এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়।


ভিটামিন সি-র অভাবও ক্লান্তির একটি কারণ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষগুলিকে শক্তি প্রদান করে। ভিটামিন সি-এর অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবসাদ দেখা দেয়। এই ভিটামিনের প্রধান উৎস হলো লেবু, কমলালেবু, আমলকী, এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল।


ফলিক অ্যাসিড, যা ভিটামিন বি৯ নামেও পরিচিত, ক্লান্তি দূর করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর অভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা হতে পারে, যা দুর্বলতা এবং অবসাদের কারণ। গাঢ় সবুজ শাকসবজি, ডাল এবং দানাশস্যে ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।


যদি শরীরে বারবার ক্লান্তি অনুভূত হয়, তবে এটি ভিটামিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যার কারণ নির্ণয় করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।