আজান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের একটি অংশ, যা নামাজের আহ্বান। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সঠিকভাবে উচ্চারণ করা অত্যাবশ্যক। তবে আজানে ভুল হলে কী করা উচিত, তা সম্পর্কে ইসলামে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
১. ভুল হলে সংশোধন করা:
আজান দেওয়ার সময় কোনো শব্দ ভুল হলে বা আয়াত বা বাক্য সঠিকভাবে উচ্চারণ না হলে সংশোধন করা উচিত। ভুল যেখান থেকে হয়েছে, সেখান থেকে আবার সঠিকভাবে পড়তে হবে। পুরো আজান পুনরায় দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কেবল ভুল অংশটি সংশোধন করলেই যথেষ্ট।
২. গুরুতর ভুলের ক্ষেত্রে আজান পুনরায় দেওয়া:
যদি ভুলটি গুরুতর হয় এবং তা আজানের অর্থ পরিবর্তন করে দেয়, তাহলে পুরো আজান নতুন করে দেওয়া উত্তম। উদাহরণস্বরূপ, “আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই) ভুল করে অন্য কোনো অর্থে পরিবর্তিত হলে তা পুনরায় সঠিকভাবে বলা জরুরি।
৩. ইচ্ছাকৃত ভুল হলে তা মারাত্মক:
ইচ্ছাকৃতভাবে আজানের শব্দ বিকৃত করা বা ভুল উচ্চারণ করা মারাত্মক গুনাহ। এটি আল্লাহর বিধানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এ ধরনের কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে।
৪. আজান দেওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করা:
আজান দেওয়ার জন্য এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন করা উচিত, যিনি সঠিক উচ্চারণে পারদর্শী এবং শুদ্ধভাবে আজান দিতে সক্ষম। এটি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
আজান আল্লাহর নামে ডাকা এবং ইবাদতের আহ্বান। তাই এর প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত যত্ন ও মনোযোগ দিয়ে উচ্চারণ করা উচিত। ভুল হলে তা সংশোধন করে সঠিকভাবে দেওয়া ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতি।
thebgbd.com/NA