মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ত্বিতীয় মেয়াদে আগামী চার বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয়শ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে এই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাশিত সংস্কার ‘অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’ তৈরি করতে পারে। সৌদি আরব এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায়। আরো সুযোগ সৃষ্টি হলে বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। খবর ইউরোনিউজের।
বুহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ওভাল অফিসে ফিরে আসার জন্য ট্রাম্পকে নিজের এবং বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান তিনি। সালমান বলেন, সৌদি নেতারা যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন জনগণের আরও অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এ সময় ট্রাম্প বাদশাহ সালমান ও যুবরাজকে ধন্যবাদ জানান এবং উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২০১৮ সালে যুবরাজ বিন সালমান বলেন, ‘ মার্কিন সামরাস্ত্রের একটি অংশ সৌদি আরবে তৈরি হবে। এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। উভয় দেশের জন্য ভালো বাণিজ্য, ভালো সুবিধা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আসবে। পাশাপাশি, এটি আমাদের নিরাপত্তাকে সহায়তা করবে।’ ট্রাম্পের নতুন মেয়াদেও নিজেদের মধ্যে এই সহযোগিতা ধরে রাখতে চান তিনি।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে ২০১৭ সালে ট্রাম্প সৌদি আরবে যান। সেখানে তিনি বাদশা এবং যুবরাজ সালমানের সঙ্গে রিয়াদে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সৌদি বাদশা তাকে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘কলার অব আবদুল আজিজ আল সৌদ’-এ ভূষিত করেন। ট্রাম্প সে সময়ে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও নিরাপত্তা অংশীদার’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
সূত্র: ইউরোনিউজ
এসজেড
