ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চার সেনার বদলে দুইশ’ ফিলিস্তিনির মুক্তি

যে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে; যাদের মধ্যে ১২০ জন ইসরাইলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
  • | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫
চার সেনার বদলে দুইশ’ ফিলিস্তিনির মুক্তি হামাস যোদ্ধা।

গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার চার ইসরায়েলি নারী জিম্মির বিনিময়ে দুইশ’ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে এতথ্য জানিয়েছে।


ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, চার ইসরায়েলি সেনার বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে; যাদের মধ্যে ১২০ জন ইসরাইলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এএফপি জানায়, জিম্মিদের হস্তান্তরের জন্য গাজা স্কয়ারে চারটি রেডক্রসের গাড়ি পৌঁছেছে।


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা সময় যাদের জিম্মি হিসেবে আটক করা হয় এই চার নারী সেনাও তাদের মধ্যে ছিলেন। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার নিশ্চিত করেছে, দেশে ফিরে আসা ওই চার জিম্মি নারী সেনার নাম তারা পেয়েছে। ইসরায়েলি হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরামের মতে, মুক্তি পাওয়া নারীরা হলেন করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। আলবাগের বয়স ১৯ বছর, আর বাকি তিনজনের বয়স ২০ বছর।


হামাসের সশস্ত্র শাখা এজেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা শুক্রবার টেলিগ্রামে বলেছেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে কাসসাম ব্রিগেড চারজন নারী সেনাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে নাম পেয়েছেন।


ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তাদের মুক্তি দুপুরের (১০০০ জিএমটি) আগে শুরু হতে পারে, যদিও হামাস বা ইসরাইল কেউই প্রত্যাশিত সময় সম্পর্কে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। ইসরায়েলের কারাগার বিভাগ জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ফিলিস্তিনি গাজায় যাবে, বাকিরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিরে যাবে।


ইসরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর থেকে গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবারগুলো ১৫ মাস ধরে যন্ত্রণা ভোগ করার পর তাদের প্রিয়জনদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। জিম্মি নিমরোদ কোহেনের মা ভিকি কোহেন বলেন, চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে না এই উদ্বেগ এবং ভয় আমাদের সকলকে কুরে কুরে খাচ্ছে। 


গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো বাড়ি ফিরে যেতে আকুল ছিল, কিন্তু অনেকেই কেবল ধ্বংসস্তূপ খুঁজে পেয়েছে যেখানে একসময় ঘর ছিল। বাস্তুচ্যুত মহিলা তেকরা কাসেম এএফপিকে বলেন, আমরা যদি ফিরে যাওয়ার কথা ভাবি, যদিও ধ্বংসের কারণে আমাদের তাঁবু রাখারও কোন জায়গা নেই। 


সূত্র: এএফপি


এসজেড