রাজধানীর দিনমজুর মানুষদের টার্গেট করে তাদেরকে প্রলুব্ধ করে কিডনি বিক্রি। এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলছে, তারা ভুক্তভোগীদের বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ভারতে নিয়ে কিডনি বেঁচে দিতো।
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, একটি মামলার সূত্রে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কিডনি কালোবাজারি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে ভারতে কিডনি বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)। ধানমণ্ডি থানার একটি মামলায় তাদেরকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, কিডনি বিক্রি চক্রের সদস্যরা প্রথমে ভিকটিমকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রলুব্ধ করতো। পরে কৌশলে ভারত নিয়ে তাকে নানাভাবে বোঝানো হতো। রাজি না হলে কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করতো তারা।
বর্তমানে এক একটি কিডনির দাম সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চক্রটিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, যখন যেমন দাম পায়, তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্তও দাম উঠানামা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।