সিলেট নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। এ নিয়ে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
হঠাৎ করে এক লাফে এ অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোয় তোলপাড় শুরু হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের মধ্যে। অনেকে বলছে, কারো কারো বেড়েছে আরও বেশি।
সিলেট নগরীতে অস্বাভাবিকহারে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-অসন্তোষ। আন্দোলনকারীদের দাবি অসহনীয় কর বৃদ্ধি অযৌক্তিক। অংশিজনদের সঙ্গে আলোচনা করে কর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত হোল্ডিং টেক্স আরোপের প্রতিবাদ সমাবেশ নগরীজুড়ে প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন নগরবাসী।
সমাবেশে সিসিকের লাগামহীন ও অযৌক্তিক ট্যাক্স বাড়ানোর নিন্দা জানান নগরের বিশিষ্টজনেরা। এমন সিদ্ধান্ত থেকে সিসিক কর্তৃপক্ষকে সরে আসার আহ্বান জানান তারা।
এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, এভাবে অংশিজনের সঙ্গে আলোচনা না করে অযৌক্তিকভাবে কর বাড়ানো আইনের পরিপন্থি।
অন্যদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান।
অন্যদিকে, সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বললেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কর নির্ধারণ জরিপ করা হয়। কিন্তু তা অযৌক্তিক মনে হওয়ায় স্থগিত রাখা হয়। তবে, নগরবাসীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করনির্ধারণের পরামর্শ দেন তিনি।
২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হয়। এতে পুরনো ২৭টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং নির্ধারিত হয় ৭৫ হাজার ৪৩০টি।
এসবের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৩ কোটি টাকারও বেশি। নতুন ট্যাক্স ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ সাল। সেই করারোপের তালিকাই ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে।