ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দুই আলাদা বিভাগসহ দেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটির প্রশাসনিক ও নাগরিক সেবা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দুই আলাদা বিভাগসহ দেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ সংগৃহীত

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দেশের প্রশাসনিক কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে, যা অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।


বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব জানান, কমিশন কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা আলাদা বিভাগ হিসেবে গঠনের সুপারিশও করেছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ‘গ্রেটার সিটি ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি’ গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটির প্রশাসনিক ও নাগরিক সেবা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।


ইমিগ্রেশন এবং পাবলিক সার্ভিসের জন্য আলাদা ইউনিট

কমিশন ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজে পুলিশ বাহিনীর জন্য আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া, পাবলিক সার্ভিসকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার জন্য তিনটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করার প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়েছে।


বিচার বিভাগে স্বাধীনতা এবং সংস্কার

এদিন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচার বিভাগ কখনোই সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল না। কমিশন তাই বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। 


এছাড়া, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে এবং স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠন করারও প্রস্তাব দিয়েছে বিচার সংস্কার কমিশন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, পুলিশী তদন্ত অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনে চলে যায়, তাই একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন।


অন্যান্য সুপারিশ

কমিশন আরও সুপারিশ করেছে যে, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টকে উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা উচিত এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।


জুলাই চার্টার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা

প্রেস সচিব বলেন, এই কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে, প্রাইরিটি বেসিসে কিছু প্রস্তাবনাকে একত্রিত করা হবে এবং এটির নাম হবে 'জুলাই চার্টার'। জুলাই চার্টারে বিভিন্ন পক্ষের স্বাক্ষরের মাধ্যমে, একটি সম্মতিপত্র তৈরি হবে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত জানাবে যে তারা এই চার্টারের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে চায়, এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।



thebgbd.com/AR