ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সৎ থাকা সহজ নয়, কিন্তু সম্ভব

শয়তান ও নফস সবসময় বিভ্রান্ত করতে চায়, তাই কিছু কৌশল বা টোটকা অনুসরণ করলে সৎ থাকা সহজ হয়ে যায়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
সৎ থাকা সহজ নয়, কিন্তু সম্ভব ফাইল ছবি

সৎ থাকা সহজ নয়, কিন্তু সম্ভব। শয়তান ও নফস সবসময় বিভ্রান্ত করতে চায়, তাই কিছু কৌশল বা টোটকা অনুসরণ করলে সৎ থাকা সহজ হয়ে যায়।


আল্লাহর ভয় মনে রাখা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সবসময় মনে রাখতে হবে, আল্লাহ সব দেখছেন এবং ভালো-মন্দের হিসাব তিনি নেবেন। এটা চিন্তা করলেই অন্যায় বা অসততার হাত থেকে বাঁচা সহজ হয়।


সৎ ও নেক মানুষের সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সঙ্গ অসততার দিকে টানে, আর ভালো সঙ্গ সততার পথে রাখে। তাই বন্ধু নির্বাচন করার সময় সতর্ক হতে হবে।


সততা নিয়ে কুরআন ও হাদিস পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এতে সততার গুরুত্ব উপলব্ধি করা সহজ হয় এবং মনোবল শক্ত থাকে।


নিজের নফসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। লোভ, অহংকার, হিংসা বা হালাল-হারামের প্রতি উদাসীনতা অসততার মূল কারণ। তাই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


যেকোনো কাজ করার আগে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করা উচিত—এটি সঠিক নাকি ভুল? অন্য কেউ করলে আমি ভালো চোখে দেখতাম কি না? যদি বিবেক সাড়া না দেয়, তাহলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।


ছোট খারাপ কাজকেও অবহেলা করা যাবে না। অনেকে ভাবে, ছোট মিথ্যা বা সামান্য অসততা কোনো ব্যাপার নয়, কিন্তু এগুলো ধীরে ধীরে বড় পাপের দিকে নিয়ে যায়।


অসৎ কাজের ক্ষতি সম্পর্কে জানা দরকার। অসততা হয়তো সাময়িক লাভ দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাসে যারা অসৎ পথে গিয়েছিল, তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল, তা জানা জরুরি।


প্রতিদিন নিজের কাজের হিসাব নেওয়া উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে ভাবা—আজ আমি কি কোনো মিথ্যা বলেছি বা কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছি? নিয়মিত আত্মবিশ্লেষণ করলে সততার ওপর টিকে থাকা সহজ হয়।


সৎ থাকতে ধৈর্য ধরতে হয়। মাঝে মাঝে সততার কারণে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি শান্তি ও সম্মান এনে দেয়। তাই ধৈর্য হারানো যাবে না।


আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে, যাতে তিনি সততার পথে দৃঢ় রাখেন। কারণ নিজের প্রচেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো ভালো কাজেই স্থির থাকা সম্ভব নয়।


 thebgbd.com/NIT