ভারতের ১৮তম লোকসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন বিভিন্ন বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ভোটকেন্দ্রে। এদিন ভোটারদের সারিতে না দাঁড়িয়ে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের সময় বাধা দেওয়ায় এক ভোটারকে থাপ্পড় মারেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির বিধানসভার এমএলএ এ শিবকুমার। পরে ওই ভোটারও সজোরে পাল্টা থাপ্পড় মারেন।
সোমবার (১৩ মে) দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ভোটকেন্দ্রে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, বিধায়ক এ শিবকুমার ভোটারদের লাইনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে ঢোকার সময় আপত্তি জানান ওই ভোটার। পরে সঙ্গে সঙ্গে তার গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে দেন বিধায়ক শিবকুমার। ওই ভোটারও তড়িৎ গতিতে পাল্টা থাপ্পড় মারেন বিধায়কের গালে। এসময় বিধায়কের সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা ওই ভোটারকে বেধড়ক মারপিট করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাতাহাতি শুরু হওয়ার আগে ঠিক কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার নয়। তবে ভোটারকে বিধায়কের থাপ্পড়ের এই ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির বিধানসভার এমএলএ এ শিবকুমার ভোটারকে থাপ্পড় দেন। পরে ওই ভোটারও পাল্টা থাপ্পড় মারেন। এরপর আইনপ্রণেতার সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীরা ওই ভোটারের ওপর হামলে পড়েন। তাকে বেধড়ক চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি মারেন তারা।
এই ঘটনায় ওই ভোটারকে রক্ষায় ভোটের সারিতে দাঁড়ানো অন্যান্যরা এগিয়ে এলেও সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো কর্মীকে আসতে দেখা যায়নি।
এই ঘটনায় দেশটির নাগরিকরা ভিআইপি সংস্কৃতি সমালোচনা করে ওই আইনপ্রণেতার শাস্তির দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন, একজন আইনপ্রণেতা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করতে পারেন না।
এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের লোকসভার ২৫টি আসন ও বিধানসভার ১৭৫টি আসনে ভোট হয়েছে। নির্বাচনে ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি সরকার বিজেপি এবং এন চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলেগু দেশম পার্টির জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
টিডিপির মুখপাত্র জ্যোৎস্না তিরুনাগি এনডিটিভিকে বলেছেন, ঘটনাটি ক্ষমতাসীন দলের হতাশার চিত্র তুলে ধরেছে। কারণ, তারা জানে তাদের দল হেরে যাচ্ছে। এটা হাস্যকর। আর ভোটারদের প্রতিশোধের ঘটনায় এটা পরিষ্কার যে, মানুষ আর এই নির্বোধ নেতাদের সহ্য করবে না।
ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক আব্দুল হাফিজ খান বলেছেন, তারা ভাইরাল ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে শাসক দলের বিরুদ্ধে বদনাম করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঢাকা
| বঙ্গাব্দ
