রোজা অবস্থায় পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে তা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও কিছু ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ইফতারে ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই সহজপাচ্য ও হালকা খাবার খাওয়া উচিত, যেমন খেজুর, দই, চিড়া, শসা, পাকা কলা ও পেঁপে। এসব খাবার হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস কমায়।
খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দ্রুত খেলে পেটে বাতাস ঢুকে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত, তবে একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে ধীরে ধীরে পান করা ভালো। অতিরিক্ত চা, কফি ও কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস পান করলে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
গরম পানিতে সামান্য আদা বা জিরা দিয়ে পান করলে গ্যাস কমতে পারে। ইফতার ও সেহরির পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাস জমতে পারে না। যাদের নিয়মিত গ্যাসের সমস্যা হয়, তারা ছোলা, ডাল ও খুব মশলাদার খাবার কমিয়ে দিতে পারেন।
সেহরিতে খুব ভারী খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য খাবার যেমন ওটস, দই, ফল ও সামান্য ভাত বা রুটি খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত তরকারি বা ভাজাপোড়া খেলে সারাদিন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। চিনি বেশি খেলে তা ফার্মেন্ট হয়ে পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে, তাই চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো।
যদি এসব নিয়ম মেনে চলার পরও গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা থাকলে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।