রমজানের রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। কেউ যদি বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে তা গুরুতর গুনাহের কাজ এবং তার জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা এসেছে কোরআন ও হাদিসে।
১. কঠিন গুনাহগার হওয়া: আল্লাহ বলেন, "তোমাদের মধ্যে যারা রমজান মাস পাবে, তারা অবশ্যই সে মাসের রোজা রাখবে।" (সূরা আল-বাকারা: ১৮৫)
রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি বিনা ওজরে এবং অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, সে যদি সারাজীবনও রোজা রাখে, তবুও তা পূরণ হবে না।" (সুনান আবু দাউদ: ২৩৯৬)
২. কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি: হাদিসে এসেছে, "আমি (রাসুল) স্বপ্নে দেখলাম, কিছু লোককে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের চোয়াল ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? বলা হলো, এরা সেইসব লোক, যারা রমজানের রোজা ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙে ফেলত বা রাখত না।" (ইবনে খুজাইমা: ১৯৮৬)
৩. তওবা ও কাফফারা আবশ্যক: যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে, তাহলে তাকে আন্তরিকভাবে তওবা করতে হবে এবং পরবর্তীতে সেই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা (একাধারে ৬০ দিন রোজা) কেবল রোজা ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ইচ্ছাকৃতভাবে পুরো রোজা না রাখলে শুধু কাজা করতে হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখা কঠিন গুনাহ, যার জন্য আল্লাহর শাস্তির ভয় রয়েছে। তাই রমজানের রোজা যথাযথভাবে পালন করা এবং আগের রোজা ছুটে গেলে দ্রুত কাজা করে নেওয়া উচিত।
thebgbd.com/NA