ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সেহরিতে তৈলাক্ত খাবার যে কারণে এড়িয়ে যাবেন

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দিনের দীর্ঘ সময় রোজা রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • | ১৩ মার্চ, ২০২৫
সেহরিতে তৈলাক্ত খাবার যে কারণে এড়িয়ে যাবেন সেহরিতে তৈলাক্ত খাবার

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দিনের দীর্ঘ সময় রোজা রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেলে শরীরের উপর বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।


সেহরিতে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার কারণ:


হজমে সমস্যা তৈরি করে


অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, যা পেটে গ্যাস, অম্বল ও বদহজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে এটি আরও বেশি অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।


অতিরিক্ত পিপাসা লাগায়


তৈলাক্ত খাবার শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে এবং হজমের জন্য বেশি পরিমাণে পানি দরকার হয়। ফলে সেহরিতে এ ধরনের খাবার খেলে সারাদিন তৃষ্ণা বেশি লাগতে পারে।


অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়


তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে অস্বস্তি হয় এবং অলসতা ও ক্লান্তিভাব বেড়ে যায়, যা রোজার সময় কাজের ক্ষতি করতে পারে।


ওজন বাড়াতে পারে


তৈলাক্ত খাবারে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকে, যা নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে রোজার সময় শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়, তাই ক্যালরি বেশি গ্রহণ করা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়।


অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়


ভাজা ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়ায়, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফলে সেহরিতে এমন খাবার খেলে সারাদিন পেটে জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।


রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে


তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে তা দ্রুত কমে যায়, যা রোজার সময় দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ও ঝিমুনির কারণ হতে পারে।


সেহরিতে কী ধরনের খাবার খাবেন?


প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার (ডাল, ডিম, মাছ, মুরগির মাংস)


আঁশযুক্ত খাবার (শাকসবজি, ফল, চিড়া, ওটস)


জটিল কার্বোহাইড্রেট (লাল চালের ভাত, আটা রুটি)


প্রচুর পানি ও দুধ জাতীয় পানীয়


সেহরিতে স্বাস্থ্যকর ও সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করলে সারাদিন শক্তি বজায় থাকবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে।