বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের পর জঙ্গিদের উপর পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রেন হাইজ্যাকের পর তাদের উপর হামলা হতে পারে, এমন শঙ্কা করছে জঙ্গিরাও। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বেলুচিস্তানে উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কাজ করে পাকিস্তানের শান্তির উদ্যোগকে কেউ নষ্ট করে দিতে পারবে না।’ তারপরই ইঙ্গিত দেন, এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
কিন্তু সেনাবাহিনী যদি হামলা করে, তাদের গায়ে যদি কোনও আঁচ লাগে, তা হলে তারাও পাল্টা হামলা চালাতে পিছপা হবেন না। ‘আল জাজিরা’য় এমনই বলেছেন বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র এক কমান্ডার। তিনি বলেন, ‘যদি সেনাবাহিনী হামলার চেষ্টা করে, তা হলে পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ, লাহোর অথবা রাওয়ালপিন্ডি।’
কমান্ডার বলেন, বেলুচ শিশুদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়। মহিলাদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। আবার যদি এই কাজ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে জবাব দিতে প্রস্তুত তারা। বিএলএ কমান্ডার আরও বলেছেন, যদি বেলুচদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, তারাও পাল্টা চাপের কৌশল নেবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মারলে, আমরাও সেনাদের মারব। ওদের শিক্ষা দিতে চাই, আঘাতের বদল আঘাত দিতে জানি আমরাও।’
তিনি জানান, প্রতিনিয়ত বেলুচদের উপর অত্যাচার হয়। যদি অত্যাচারের চেষ্টা হয়, যদি কাওকে হত্যা করা হয়, তা হলে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য ইসলামাবাদ হবে, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন বিএলএ কমান্ডার। তারপর বলেছেন, সময় থাকতে সেনাবাহিনী নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা করুক, না হলে পরিণতি আরও ভয়ানক হতে পারে।
মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে বিএলএ জঙ্গিরা। প্রায় ৩০ ঘণ্টার সেনা অভিযানে উদ্ধার হন যাত্রীরা। সেনাবাহিনী জানায়, সব জঙ্গির মারা গেছে। জঙ্গিদের পাল্টা দাবি, ৩০ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসজেড