ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তদবির বাণিজ্যে কোটি টাকার লেনদেন

মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, তিনি তদবির বাণিজ্যে জড়িত নন এবং ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, এক টাকার দুর্নীতিও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
তদবির বাণিজ্যে কোটি টাকার লেনদেন ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ও বর্তমান ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ঠিকাদারি ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।


সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, গণপূর্ত, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির তদবির করে মোয়াজ্জেম হোসেন বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সচিবালয়ে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করে এসব তদবির পরিচালনা করতেন তিনি। ঠিকাদারদের বিল ছাড়, প্রকৌশলী বদলি ও পুনর্বাসনের মতো কাজে মোয়াজ্জেম সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানও একইভাবে মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ-বদলির বিনিময়ে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, এমনকি হজ টিমে ডাক্তার-নার্স নিয়োগেও অর্থ লেনদেন করেছেন। জানা গেছে, এই ঘুষের একটি বড় অংশ রাশিয়ায় পাচার করেছেন মাহমুদুল, যিনি বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন।


২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ডা. মাহমুদুল হাসানকে এখনো অপসারণ করা হয়নি, তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।


মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, তিনি তদবির বাণিজ্যে জড়িত নন এবং ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, এক টাকার দুর্নীতিও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।


তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তদবিরের মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেছেন, যা এখন তদন্তাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


thebgbd.com/NIT