আন্তর্জাতিক অভিবাসনসহ তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। যদিও কূটনীতিকরা মনে করেন বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাপ তৈরি করার একটি কৌশল এটি। আর খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দূতাবাসে অভিযোগ করেছেন এমন পাঁচ হাজার কর্মীরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দীর্ঘসময় প্রায় একমাস কর্মহীন তারা। প্রতিদিনই বাড়ছে খাবার সঙ্কট। সেই সঙ্গে এক রুমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকার কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এম ফাইভ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে যাওয়া এই কর্মীদের কারো কাছেই এই তাদের পাসপোর্ট বা প্রয়োজনীয় কাগজ। এমনকি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের সুযোগও তারা পান না। এমনই বেশ কিছু অভিবাসীর মোবাইল ভিডিও এসে পৌঁছেছে একাত্তরের কাছে।
আর তখনই আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় এক বিবৃতি দিয়ে বলছে, তারা উদ্বিগ্ন। কারণ এই মুহূর্তে তাদের সহায়তা প্রয়োজন।
এর আগেও বাংলাদেশি কর্মীদের দুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ২৩টি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কর্মহীন বাংলাদেশি হাইকমিশনে তাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছে।
বায়রা'র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন স্বপন বলেন, পাঁচ হাজার একশ' জনের একটি তালিকা তারা দিয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত চারটা কোম্পানিতে খোঁজ নিয়েছি, তারা একজনও কর্মহীন নন। তারপরও আমি ব্যক্তিগতভাবে হাইকমিশনের কাছে নাম চেয়েছি। পরে মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে শুধু কোম্পানির নাম পেয়েছি। একটি লোকও পাইনি যারা কর্মহীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ কর্মহীন থাকেন তাহলে যেন দূতাবাসকে বা সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিকে জানায়।
তবে বিষয়টিকে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলে মনে করেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, রাজনৈতিক কারণে উনারা মানবাধিকারের কথা বলেন। এই মুহূর্তে যারা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে আশ্রয়ের জন্য তাদের জাহাজ ভর্তি করে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। ওতা কী মানবাধিকার লঙ্ঘন না?
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকারের অনেক সবক দিচ্ছে কিন্তু গাজায় কী হচ্ছে? আমার মনে হয় সবই রাজনীতি। বাংলাদেশকে চাপে রাখার জন্য।
এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশি নতুন কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া গেছেন। যা আগামী ৩১ মে বন্ধ হয়ে যাবে।