চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জায়ে-মিয়ংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট লি জায়ে-মিয়ং তার পূর্বসূরির বিপর্যয়কর সামরিক আইন ঘোষণার ফলে সৃষ্ট আগাম নির্বাচনে জয়লাভের পর শি জিনপিং এ অভিনন্দন জানান। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘শি জিনপিং দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি জায়ে-মিয়ংকে একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।’ বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বুধবার বলেছেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা ‘শক্তিশালী’ করতে চান। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবারেল প্রার্থী লি জে-মিয়ং নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ এবং জাপানের বিংশ শতাব্দীতে কোরিয়ান উপদ্বীপে কয়েক দশক ধরে দখলদারিত্বের সময় জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহারের তিক্ত বিরোধ দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অধীনে দেশগুলো আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে, যার মধ্যে যৌথ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ত্রি-পক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইশিবা টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বছর জাপান ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ৬০তম বার্ষিকী’। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট লি জায়ে-মিয়ংয়ের সঙ্গে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতাকে আরো জোরদার করতে চাই।’ ইশিবা আরও বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে যদি জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলন করতে পারি তাহলে ভালো হবে’।
ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার মতে, ইউনের চেয়ে লি জাপানের প্রতি আরও কঠোর অবস্থান নেন, যার মধ্যে তিনি বলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জাপানের প্রতি ‘আনুগত্যশীল’ ছিলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট অতীতে এই ব্যাপারে কিছু বিবৃতিও দিয়েছেন।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
