আঞ্চলিক উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়া এড়াতে ইরান ও মার্কিন সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে ইরাক। শনিবার ইরাকের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বাগদাদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। ইরাক সরকার তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তবে ইরানের চিরশত্রু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারও, যাদের জিহাদি-বিরোধী জোটের অংশ হিসেবে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার সেনা রয়েছে।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে ইরাক বলেছে, তারা ‘ইরাকি আকাশসীমা লঙ্ঘন বা ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সত্তা কর্তৃক পরিচালিত সামরিক হামলায় এর ব্যবহারের দৃঢ় ও দ্ব্যর্থহীন প্রত্যাখ্যান পুনর্ব্যক্ত করছে’। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, ‘তার দায়িত্ব পালন করতে। যাতে ইহুদিবাদী সত্তার বিমান আবারও ইরাকি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এই ধরনের হামলা চালাতে না পারে’।
একজন ঊর্ধ্বতন ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, বাগদাদ তেহরানকেও তার ভূখণ্ডে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা না করার জন্য অনুরোধ করেছে। সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুরোধ করা হয়’ তারা আমাদের ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে’।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইরাকি সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের নেতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাগদাদ ওয়াশিংটনের কাছে তার আকাশসীমার অখণ্ডতা রক্ষায় সহায়তা করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে। ইরানে হামলা চালানোর জন্য ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে শুক্রবার জাতিসংঘে অভিযোগ দায়ের করেছে বাগদাদ।
শুক্রবার ভোরে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া বর্তমান উত্তেজনার আগে, তেহরান হুমকি দেয় ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হলে যেকোনও সংঘাতের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের আবাসস্থলে থাকা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা নিরাপত্তার কারণে বাগদাদে তার দূতাবাসে কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড
