আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এর আগে ইসরায়েল প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সনদের লঙ্ঘন করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এখন একই কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, তবে তারা জাতিসংঘ সনদও ভঙ্গ করছে।”
“সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রগুলোতে যা ঘটছে, তা স্পষ্টভাবে দেখায়—আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো ভেঙে পড়ছে,” যোগ করেন তিনি।
ইরানের সম্ভাব্য জবাব কেমন হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে আহমাদিয়ান বলেন, “ইরান প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য প্রস্তুত, তবে তারা সেটা এমনভাবে পরিচালনা করতে চাইবে যাতে কোনো প্রাণহানি না ঘটে এবং সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কা না থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “ইরান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫০টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। প্রতিটি ঘাঁটির কার্যক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে, এবং তারা তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি নিতে বাধ্য।”
আহমাদিয়ান জানান, “কাতার ও অন্যান্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (GCC) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো। তবে ইরান এসব দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে—যদি তাদের মাটি থেকে ইরানে হামলা হয়, তবে প্রতিক্রিয়াও সেই উৎস লক্ষ্য করেই হবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ধরনের কৌশলগত উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে আইনগত কাঠামোর বদলে শক্তি ও জোটই মুখ্য হয়ে উঠছে।
thebgbd.com/NA