ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হাসেন, পেছনের বিজ্ঞান ও কারণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জুলাই, ২০২৫
পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হাসেন, পেছনের বিজ্ঞান ও কারণ ফাইল ছবি

নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি হাসেন—এই বিষয়টি অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু কেন নারীরা বেশি হাসেন? এর পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও জীববৈজ্ঞানিক নানা কারণ।


প্রথমত, নারীদের সামাজিক যোগাযোগের ধরন পুরুষদের থেকে আলাদা। নারীরা সাধারণত বেশি আবেগপ্রবণ ও সমাজমুখী হন। হাসি তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার, সংযোগ স্থাপনের ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই নারীরা মিথস্ক্রিয়া করার সময় বেশি হাসেন যাতে তারা অন্যদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।


দ্বিতীয়ত, নারীদের মস্তিষ্কের কিছু অংশ যেমন ফ্রন্টাল লোব ও এমিগডালা হাসির প্রতি বেশি সক্রিয় থাকে, যা তাদের হাসির প্রভাব ও অভিব্যক্তিকে বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা হাসির মাধ্যমে চাপ কমাতে এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে বেশি সফল হন।


তৃতীয়ত, সমাজের প্রত্যাশা ও সামাজিক নিয়মও নারীদের হাসির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। নারীদের ওপর ‘মৃদু ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ আচরণ প্রদর্শনের চাপ থাকার কারণে তারা হাসির মাধ্যমে পরিস্থিতি মৃদু করার চেষ্টা করেন। আর পুরুষরা অনেক সময় ‘দৃঢ় ও কঠোর’ ভূমিকা পালন করার কারণে হাসি কম দেখান।


এছাড়া, নারীরা যেকোনো পরিস্থিতিতে সংবেদনশীলভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান, যা হাসির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাই নারীরা মানসিক উৎকণ্ঠা কমাতে বা সহজেই অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হাসি ব্যবহার করেন বেশি।


সুতরাং, হাসি শুধুমাত্র আনন্দের প্রকাশ নয়, এটি সামাজিক বন্ধন, মানসিক স্বাস্থ্যের সমর্থন এবং চাপ কমানোর একটি প্রক্রিয়া। নারীরা এই কারণগুলোতে পুরুষদের থেকে বেশি হাসেন এবং হাসি তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।


https://thebgbd.com/BYB