রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যখন চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ, তখন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫২০ নম্বর কক্ষের মেঝেতে বসে ভাগনি মেহরিনের পোড়া স্কুলড্রেস হাতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছেন মামা ফাহাদ নিয়ন।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মেহরিন—একজন নিষ্পাপ শিশুশিক্ষার্থী, যে আজ হঠাৎই ভয়াবহ আগুনের শিকার হয়ে পড়েছে। ফাহাদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “ও খুব নিষ্পাপ ভাই। ওর দুই হাত আর মুখ পুড়ে গেছে। এটা ওর স্কুল ড্রেস… সারা দিন পড়াশোনা করে। এত ভালো একটা মেয়ে!”
মেহরিনের বাসা দিয়াবাড়ি এলাকায়। দুর্ঘটনার সময় তার ক্লাসরুমের পাশেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। আগুন ধরে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে তাকে খুঁজে ফিরছিলেন।
ফাহাদ বলেন, “আগুন লাগার খবর শুনে সেখানে গিয়ে দুই-তিন ঘণ্টা খুঁজেছি। কোথাও পাইনি। পরে ওর শিক্ষক ফোন করে বলেন, মেহরিন বার্ন ইউনিটে। এরপর ছুটে এখানে আসি। দেখি, ওর মুখ আর দুই হাত পুড়ে গেছে।”
ছোট্ট মেহরিনের মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী আজ পুড়ে গেছে, কেউ নিখোঁজ, কেউ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। বার্ন ইউনিট ও হাসপাতালগুলোতে চলছে স্বজন হারানোর প্রগাঢ় শোক আর দগ্ধ শিশুদের আর্তনাদ। রাজধানীজুড়ে যেন নেমে এসেছে এক অঘোষিত শোকাবহ দিন।
thebgbd.com/NIT