একটি-দুটি নয়, একাদশে পাঁচ-পাঁচটি পরিবর্তন। আগের ম্যাচ খেলা একাদশ থেকে পারভেজ ইমন, তাওহিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন- এই পাঁচজনকে বাইরে রেখে সাজানো হলো একাদশ।
তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমন ভালোই খেলছিলেন, শেষ ম্যাচে নাইম শেখকে খেলানোর মানে কী? মেহেদি হাসান মিরাজকে খেলানোর ফলও শূন্য। বল হাতে এক ওভারে ১৪ রান দেয়া মিরাজ ৮ বলে ১০ রানে ফিরেছেন সাজঘরে।
একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার নাসুম (৪ ওভারে ২/২২) সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে এক ম্যাচ পর আবার দলে ফিরে তাসকিন ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়েছেন। সাইফউদ্দিনও মোটামুটি উৎরে গেছেন (৪ ওভারে ১/২৮ ও ৩৪ বলে ৩৫ নট আউট)।
এত বড় পরিবর্তনে লাভ কী হলো? প্রশ্ন ভক্তদের মনে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাসও। পাঁচ পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘স্কোয়াডের সবাই খেলার জন্য ক্যাপাবল। তাই সবাইকে পরখ করে নেয়া হলো।’
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিতের পর ৭৪ রানের বড় পরাজয়। এত বড় হারের কারণ কী? লিটনের ব্যাখ্যা, ‘আজকের উইকেট প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় ভালো ছিল। তবে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। তাই বড় ব্যবধানে হেরে গেছি। ‘
লিটনের অনুভব, ‘ভেবেছিলাম আজকের উইকেটও হবে আগের ২ ম্যাচের মতো; ১৪০ রানের। কিন্তু বাস্তবে বৃহস্পতিবারের উইকেট ছিল ১৮০ রানের। তারপরও এ উইকেটে ১৮০ চেজেবল ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি।’
ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করলেও নিজ দলের বোলারদের প্রশংসা করতে ভুল করেননি। তার কথা আগের ২ ম্যাচে তো বটেই, আজ বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচেও আমাদের বোলাররা বেশ ভালো বোলিং করেছে।
thebgbd.com/NIT