ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মোংলায় ১০৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

বঙ্গোপসারে সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই স্থানে অবস্থান করছে।
  • | ২৫ মে, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় মোংলায় ১০৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ফাইল ছবি

বঙ্গোপসারে সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই স্থানে অবস্থান করছে। সেখানে শক্তি সঞ্চয় করে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে মোংলা বন্দর থেকে ৫৪০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।


এ বিষয়ে মোংলা বন্দর বা সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় তেমন কোনো প্রভাব দেখা না গেলেও ঘোমট আবহাওয়া বিরাজ করছে।


মোংলা আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। এর প্রভাবে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঢেউয়ের তীব্রতাও বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক গুন। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতাও স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।


তবে সকাল থেকে মেঘ-রোদের খেলা চলছে মোংলা ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলজুড়ে। মোংলা বন্দর সংলগ্ন এখানকার উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে। সুন্দরবন ও সাগর লাগোয়া মাছ ধরার জেলেদের নিরাপদ আশ্রয় গিয়ে সাবধানে চলাচল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ। 


উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত করেছে ১ হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সাগর কেন্দ্রীক সব জলযান কিনারে আসতে শুরু করেছে। বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য খালাস-বোঝাই চললেও ঝড়ের সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ স্থানে সরে যাবে।


এছাড়া বন্দর চ্যানেল সব লাইটার ও কার্গো জাহাজকে দূরে না গিয়ে চ্যানেলে নোঙর করে রাখবে বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ। সকাল থেকে এখানে বৃষ্টি বা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ না করলেও সব মিলিয়ে একটা ঘোমট আবহাওয়া বিরাজ করছে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূল জুড়ে। 


মোংলা বন্দরের আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ বলেন, ‘যখন থেকে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেই সময় থেকেই আমরা বাতাসের গতিবেগ ও আদ্রতা পর্যবেক্ষণ করছি। লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে শনিবার রাতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। যদি দিক পরিবর্তন হয় তা হলে ভারতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। আর বর্তমানে যেদিকে মুখ করে আছে সে অবস্থায় বন্দর ও সুন্দরবনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা।