ডলার সংকট ঠেকাতে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উচ্চবিত্তের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে বাড়তি তোড়জোড় শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। এ নিয়ে গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশি যারা বিদেশে আছে তারা যেন তাদের ফরেন কারেন্সি বাংলাদেশে বৈধ পথে আনে। আমরাও তাদের ভালো একটা ইন্টারেস্ট রেট দিব।’
তিনি জানান, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। গত ৫-৭ বছরে ভারত এভাবে বেশ সফলতা পেয়েছে। সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশ এটাতে বেশ ভালো করেছে। আমরাও চালু করেছি। এখন সব ব্যাংক এটা ভালোমতো বুঝে, প্রোডাক্ট তৈরি, মার্কেটিংসহ বিভিন্নভাবে এটাকে প্রমোশন করতে পারলে আমরা ভালো ফল পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ব্যাংক প্রমোশন শুরু করেছে। বিদেশে ডলার সেভিংস এটা একটা অন্য ক্লায়েন্ট সাইট। আমরা রেমিট্যান্স যাদের কাছ থেকে আনি এরা তারা না। এরা হচ্ছে তারা যারা একটু আপার লেভেলের, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লয়ার; যারা প্রফেশনাল তাদের কাছ থেকে আমরা (ডলার আনার চেষ্টা করছি)। বাংলাদেশের এখন অনেকেই অন্য দেশের নাগরিক। তাদের কাছ থেকেও আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আনব। কারণ আমরা তো ভালো ইন্টারেস্ট রেট দিচ্ছি।’
‘সরকারের পুরো গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। আবার কোনো ট্যাক্স চার্জ করা হবে না। আমরা যদি বেটার ইন্টারেস্ট রেট দিতে পারি, ভালো সার্ভিস দিতে পারি, নিশ্চয় আমরাও অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের যে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ বিদেশে থাকে তাদেরকে ইনভলভ করতে পারব। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক ভালো সাফল্য পেয়েছে। প্রায় ৩০-৪০ মিলিয়ন ডলার এসেছে। এটা সবে শুরু হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবাই চালু করবে’, যোগ করেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের অর্জিত মুনাফা বা সুদের ওপর কোনো কর দিতে হবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।